ই রানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর ইসরায়েল উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হোম ফ্রন্ট কমান্ড বেসামরিক নীতিমালা হালনাগাদ করে ঘোষণা করেছে, দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র অতি জরুরি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—নাতানজ, ইসফাহান এবং ফোর্দোতে হামলার কথা নিশ্চিত করেন। ইরানকে দুই সপ্তাহের সময়সীমা দেওয়ার মাত্র দুই দিন পরই এই হামলা চালানো হয়। ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম-এর বরাতে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফোর্দোর একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি।
ওভাল অফিস থেকে সম্প্রচারিত এক তিন মিনিটের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “হামলাটি অসাধারণ সামরিক সাফল্য। তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।” তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, শান্তি না হলে আরও লক্ষ্যবস্তুতে “ক্ষিপ্র, দক্ষ ও নিখুঁত” হামলা চালানো হবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে “সাহসী” উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে ট্রাম্প পদক্ষেপ নিয়েছেন। এটি ইতিহাসে স্মরণীয় থাকবে।”
গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার মধ্য দিয়ে বর্তমান সংকটের সূচনা হয়। ইসরায়েলের দাবি, এই অভিযান ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে পরিচালিত হচ্ছে। তবে ইরান বরাবরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলমান হামলায় কমপক্ষে ৪৩০ জন নিহত এবং ৩,৫০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
দৈনিক ইনফো বাংলা