ঢাকা | বঙ্গাব্দ

১৭ ঘণ্টা উড়েছিল সাত বোমারু বিমান!

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jun 23, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:

মা র্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে। ফোরডো, নাতানজ এবং ইসফাহান কেন্দ্রগুলি লক্ষ্য করে এই অভিযান হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে এই হামলার ঘোষণা দিয়েছেন। হামলার নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন মিডনাইট হ্যামার। মার্কিন বি-টু স্টেলথ বোমারু বিমান এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়। বাঙ্কার বাস্টার বোমা দিয়ে পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে আঘাত হানা হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে মিসৌরির হোয়াইটম্যান ঘাঁটি থেকে বিমান ছাড়ে। সাতটি বি-টু বিমান ১৭ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ইরানে পৌঁছায়। আকাশে ট্যাঙ্কার বিমান থেকে একাধিকবার জ্বালানি ভরা হয়। শনিবার ইরানের আকাশসীমায় রাত দুইটায় বিমানগুলি প্রবেশ করে। ফোরডো ও নাতানজে ৭৫টি বোমা ফেলা হয়, যার মধ্যে ১৪টি বাঙ্কার বাস্টার। ইসফাহানে মার্কিন ডুবোজাহাজ থেকে এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। প্রায় ১৫০টি বিমান এই অভিযানে অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে। গোপনীয়তা রক্ষায় একটি বিমান দল গুয়ামের দিকে উড়ে যায়। এটি ইরানের নজর ঘোরানোর জন্য ইচ্ছাকৃত কৌশল ছিল। বি-টু বিমানগুলির সঙ্গে কিছু যুদ্ধবিমানও ছিল। যুদ্ধবিমানগুলি বোমারু বিমান রক্ষায় প্রস্তুত ছিল। হামলার পর সব মার্কিন বিমান নিরাপদে ফিরে আসে। ট্রাম্প বলেন, “আমাদের হামলা সফল, এখন শান্তি!” প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ হামলার নিখুঁততার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়। হামলার পর ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, তিনটি পরমাণু কেন্দ্রই ধ্বংস হয়ে গেছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প এই দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে এটি বড় পদক্ষেপ। এই হামলা বিশ্বে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। ইরানের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। মার্কিন সামরিক শক্তির প্রদর্শন এই অভিযানে স্পষ্ট। বি-টু বিমানের স্টেলথ প্রযুক্তি হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঙ্কার বাস্টার বোমা গভীর স্থাপনা ধ্বংসে সক্ষম। ডুবোজাহাজের ক্ষেপণাস্ত্র ইসফাহানে ব্যাপক ক্ষতি করে। অভিযানটি গোপনে পরিকল্পিত ও কার্যকর করা হয়। মার্কিন বিমান বাহিনীর দক্ষতা এতে প্রকাশ পায়। হামলার পর বিশ্ব নেতারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্য ছিল। এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। মার্কিন কৌশল ছিল অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও গোপন। বিমানগুলি অতলান্তিক মহাসাগরের উপর দিয়ে উড়ে যায়। আকাশে জ্বালানি গ্রহণ অভিযানের সাফল্যে সহায়ক হয়। ইরানের রাডার এড়াতে স্টেলথ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। হামলার সময় ইরানে গভীর রাত ছিল। এটি ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করে। মার্কিন ডুবোজাহাজের ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসফাহানের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়। অভিযানে কোনও মার্কিন বিমান হারায়নি। ট্রাম্পের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। প্রতিরক্ষা সচিব হেগসেথ বলেন, এটি ঐতিহাসিক সাফল্য। হামলার পর মার্কিন ঘাঁটিতে বিমান ফিরে আসে। ইরানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়। বিশ্ব সম্প্রদায় এই হামলার প্রভাব বিশ্লেষণ করছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ট্রাম্পের ঘোষণা বিশ্ব মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত। ইরানের পরমাণু সক্ষমতা এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত। মার্কিন প্রযুক্তি ও কৌশলের জয় এই অভিযান। হামলার পর ইরানের নীরবতা উদ্বেগজনক। বিশ্ব নেতারা এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতি ছিল নিখুঁত। অপারেশন মিডনাইট হ্যামার ইতিহাসে স্থান পাবে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংসে মার্কিন দৃঢ়তা প্রকাশ। হামলার পর ট্রাম্প শান্তির বার্তা দেন। ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া এখনও অজানা। মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে। বিশ্বের নজর এখন ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপে। মার্কিন বিমান বাহিনীর দক্ষতা বিশ্বে প্রশংসিত। হামলার গোপনীয়তা রক্ষায় কৌশল অবলম্বন করা হয়। ইরানের আকাশসীমায় মার্কিন বিমানের প্রবেশ গোপন ছিল। বাঙ্কার বাস্টার বোমার ক্ষমতা অভিযানে প্রমাণিত। ডুবোজাহাজের ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত করে। মার্কিন সামরিক প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ পায়। ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ। ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন সামরিক বাহিনী ঐক্যবদ্ধ। হামলার পর বিশ্বে মার্কিন শক্তির প্রভাব বাড়ে। ইরানের পরমাণু স্বপ্নে বড় ধাক্কা লাগে। মধ্যপ্রাচ্যে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে পারে। ট্রাম্পের শান্তির আহ্বান বিশ্বে আলোচিত। ইরানের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে। মার্কিন অভিযানের সাফল্যে বিশ্ব অবাক। হামলার পর ইরানের নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া প্রতীক্ষিত। বিশ্ব শান্তি এখন বড় প্রশ্নের মুখে। মার্কিন কৌশল ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি ছিল সুরক্ষিত স্থাপনা। হামলায় মার্কিন প্রযুক্তির শক্তি প্রকাশ পায়। ট্রাম্পের ঘোষণা বিশ্ব নেতাদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এখন অনিশ্চিত। মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা কঠিন। মার্কিন অভিযান বিশ্ব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন এখনও চলছে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন সামরিক শক্তি জয়ী। বিশ্ব সম্প্রদায় এই হামলার প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপ বিশ্ব শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন অপারেশন মিডনাইট হ্যামার সফলতার নজির। হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : দৈনিক ইনফো বাংলা

কমেন্ট বক্স