ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অন্য দেশে ‘সরকার বদলের’ মার্কিন নীতির অবসান হয়েছে: তুলসী গ্যাবার্ড

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Nov 3, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে অন্য দেশের ‘সরকার পরিবর্তন (রেজিম চেঞ্জ) বা জাতি গঠনের’ মার্কিন নীতির সমাপ্তি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বাহরাইনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন ‘মানামা ডায়ালগ’-এ তিনি এ কথা বলেন। যার মধ্যে রয়েছে গাজা উপত্যকায় ইসরাইল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করার জন্য মার্কিন বোমারু বিমান পাঠানোর পর ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ১২ দিনের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বাধ্য করা।’ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটি স্টাডিজ (আইআইএসএস) আয়োজিত ‘মানামা ডায়লগ’-এ তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ছিল সরকার পরিবর্তন (রেজিম চেঞ্জ) বা জাতি গঠনের একধরনের ব্যর্থ ও অসীমা চক্রে আটকে ছিল।’ এটি ছিল এমন এক নীতি, যেখানে সরকার উৎখাত করা, অন্য দেশে আমাদের শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা এবং না জেনে-না শুনেই বিভিন্ন সংঘাতে হস্তক্ষেপ করা এবং এভাবে মিত্রের চেয়ে বেশি শত্রু তৈরি করা। ফলাফল: ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়, অগণিত মানুষের প্রাণহানি এবং অনেক ক্ষেত্রে বৃহত্তর নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হয়েছে।’ এপির প্রতিবেদন মতে, ‘তুলসী গ্যাবার্ডের এই মূল্যায়নের ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, সে যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের নিজস্ব ভাবনার সঙ্গে মিল রয়েছে। ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে একটি চুক্তিতে পৌঁছান ট্রাম্প। যা ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসনের সময়ে বিশৃঙ্খলভাবে শেষ হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প সাবেক আল-কায়েদা সদস্য এবং একসময় ইরাকে মার্কিন কারাগারের বন্দি বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারাকেও মেনে নিয়েছেন। তবে তুলসী গ্যাবার্ড দক্ষিণ আমেরিকায় ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন, মাদক বহনের কথিত অভিযোগে জাহাজে হামলা এবং ভেনেজুয়েলায় সিআইএকে গোপন অভিযান চালানোর নির্দেশ প্রদানের বিষয়ে মন্তব্য করেননি। ট্রাম্পের নির্দেশে ক্যারিবীয় অঞ্চলে গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ক্যারিবীয় এলাকায় মার্কিন রণতরী পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলা ঘিরে ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধির পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মাদক বহনের কথিত অভিযোগে নৌকায় একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৩ বার হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এসব হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এখন ভেনেজুয়েলায় যেকোনো সময় হামলা চালানো হতে পারে বলেও একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে। 

নিউজটি আপডেট করেছেন : দৈনিক ইনফো বাংলা

কমেন্ট বক্স