লাহোরের বায়ুদূষণ সূচক (AQI) ছিল ২২১, যা “খুবই অস্বাস্থ্যকর” হিসেবে বিবেচিত। দিল্লির স্কোর ১৮৬ এবং কলকাতার ১৬৪—দুটিই “অস্বাস্থ্যকর” পর্যায়ে। দোহায় সূচক ১৬২ এবং ঢাকায় ১৫৯, যা একইভাবে অস্বাস্থ্যকর মানদণ্ডে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাত্রার বায়ুদূষণ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য।
পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে বাতাসকে “ভালো” বলা হয়, ৫১–১০০ “সহনীয়” বা “মধ্যম”, ১০১–১৫০ “সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিকর”, ১৫১–২০০ “অস্বাস্থ্যকর”, আর ২০০-এর ওপরে “খুবই অস্বাস্থ্যকর” বা “বিপজ্জনক” হিসেবে ধরা হয়।
পরিবেশবিদরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে শিল্প কারখানা, যানবাহনের ধোঁয়া, নির্মাণ কাজের ধুলাবালি এবং কৃষিজ বর্জ্য পোড়ানোর কারণে শীতকালে বায়ুদূষণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। বাংলাদেশেও ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। তারা মনে করেন, এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে আসন্ন শীত মৌসুমে দূষণের মাত্রা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনা, যানবাহনের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণসাইটে ধুলা প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং শিল্পকারখানায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন। তাদের মতে, বায়ুর মান উন্নয়ন এখন শুধু পরিবেশের প্রশ্ন নয়—এটি জনস্বাস্থ্য ও নগর টিকে থাকার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Sarwar Rana