ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ঘর আমার-বাড়ি আমার, জমিদারি করছেন প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Dec 27, 2024 ইং
ছবির ক্যাপশন:
মনজুরুল ইসলাম ::

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২৬টি ক্যাডারের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি ক্যাডারে নিয়মিত পদোন্নতি হয়। বাকি ক্যাডারে হতাশা। তার চেয়েও কঠিন পরিস্থিতি নন-ক্যাডারে। নিজের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হর্তাকর্তা অন্য কোনো দপ্তর হতে প্রেষণে আগত কোনো প্রশাসন ক্যাডার।এ যেনো ঘর আমার বাড়ি আমার কিন্তু জমিদারি করছেন অন্য কেউ। দাপ্তরিক কোনো দক্ষতা, প্রজ্ঞা কিংবা নীতি নির্ধারনী অভিজ্ঞতা না থাকলেও নীতি নির্ধারক করে দেওয়া প্রেষণে আগত মহাপরিচালক, প্রধান নির্বাহী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কিংবা পরিচালকের মত পদগুলো দেওয়ার মাধ্যমে। 
সীমাহীন আনন্দ নিয়ে মানুষ সরকারি চাকরিতে যোগ দেয়। এরপরই তার মধ্যে যে স্বপ্নটি দানা বাঁধে তা হচ্ছে পদোন্নতি। কার কীভাবে পদোন্নতি হবে তা আইনকানুন, নিয়ম-নীতি দিয়ে পোক্ত করা। পুরো বিষয়টি কাচের মতো স্বচ্ছ। এরপরও পদোন্নতি হয় না। দিন, মাস, বছর পার হয়ে যায়, কাংক্ষিত পদোন্নতির দেখা মেলে না।কিন্তু ব্যাতিক্রম দেখা যায় প্রশাসন ক্যাডারে, নিজেদের ষোলো আনার কড়ায়-গন্ডায় বুঝে নেন তাঁরা। 
সংখ্যায় বেশি হওয়া বাকি ক্যাডার কিংবা নন ক্যাডাররা যেনো হাত-পা বাঁধা নিজেদের অধিকার আদায়ে মুখ খুললেই বিপত্তি।
বেশির ভাগ দপ্তর, অধিদপ্তর পরিচালনা করেন বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তারা তাদের প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে ক্যাডার কর্মকর্তাদের দপ্তর, অধিদপ্তরে পাঠান। প্রেষণে গিয়ে অনেক কর্মকর্তা শুধু রুটিন কাজটুকুই করতে চান। শূন্যপদে জনবল নিয়োগ বা পদোন্নতি রুটিন কাজ না হওয়ায় তা উপেক্ষিত থাকে। তা ছাড়া পদোন্নতি দিতে গিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়; বিশেষ করে মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রী বা সচিব তাদের পছন্দের লোককে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য সংস্থার প্রধানকে চাপ দেন। এই চাপ উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ না থাকায় অযোগ্য লোককে পদোন্নতি দিতে হয় সংস্থার প্রধানকে। এই জটিলতা থেকে দূরে থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের পদোন্নতি দেওয়া থেকেও দূরে থাকেন সংস্থার প্রধানরা।
যার ডিপার্টমেন্ট তার মধ্য থেকেই দক্ষ কর্মকর্তা দ্বারা ডিপার্টমেন্টগুলো পরিচালনা করলেই জনসেবা প্রদান ও দূর্নীতি রোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দক্ষ কর্মকর্তা সরাসরি সম্মানিত জনপ্রতিনিধিদের রাষ্ট্র পরিচালনায় সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন বলেও মনে করছেন তাঁরা। তাই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা তার অধিনস্ত ডিপার্টমেন্ট থেকে নেয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ ব্যাক্তিরা থাকছেন উপেক্ষিত।
পদবী ও গ্রেড সমন্বয়ে ও দেখা যায় অসামঞ্জস্যতা। বিভিন্ন দপ্তরে পদ একই হওয়া সত্বেও গ্রেডে রয়েছে ভিন্নতা। পরিচালক পদটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোনো কোনো অধিদপ্তরে তা ৩য় গ্রেড, অন্য অধিদপ্তরে ৪র্থ গ্রেড আবার কোথাও ৫ম গ্রেড। বেতন কাঠামো, গ্রেড বৈষম্য ও পদ বৈষম্য নিয়মিত গ্রাস করছে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। নিজেদের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার সাথে নীতি নির্ধারনী নীতিমালায় রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। এ যেনো আধুনিক সভ্যতায় এসেও রাজা তাঁর রাজত্ব ধরে রাখার ও প্রজাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করার অভিনব কৌশল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সমাজের প্রতিটি মানুষের কর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, বৈষম্য দূরীকরণ ও ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থা নিরসন চাই সরকারি কর্মচারীরা। 
বৈষম্য দূরীকরণের সময়ে সরকারি কর্মচারীরা মনে করছেন, কোন সরকারি কর্মচারি কখনোই প্রশাসক হতে পারে না। শুধু এই প্রশাসক শ্রেণির জন্যই স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও গড়ে ওঠা স্বৈরশাসকের কারণে জীবন দিতে হয়েছে দেশের নিষ্পাপ, কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও আপামর জনসাধারণকে। আন্দোলনে নামতে হয়েছে সকল শ্রেণির কর্মচারীদের। বর্তমানে দেশ গড়ার এই কঠিন সময়েও কিছু সংখ্যক ক্যাডার শ্রেণির কর্মকর্তা নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতেই ব্যাস্ত। সরকারের প্রতিটি সোপানের গুরুত্বপূর্ণ পদে তারা এমনভাবে দখল করে আছে যে সুবিধাবঞ্চিত সরকারী কর্মচারীদের যুগ যুগ ধরে চলে আসা নিষ্পেষণ, বঞ্চনা ও চাপা কান্না সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়না। এমনকি নবম গ্রেডে প্রথম শ্রেণি পদে যোগদান করেও একজন সরকারি কর্মচারিকে নন-ক্যাডার বৈষম্যমূলক নাম ঝুলিয়ে দিয়ে সারাজীবন বৈষম্যের যাতাকলে পিষ্ট হতে হয়। বৈষম্যবিরোধী গণকর্মচারী পরিষদ মনে করে, চাকরি জীবনের শুরুতেই একই গ্রেডের একজনকে ক্যাডার এবং অপরজনকে নন-ক্যাডার তকমা দেয়া চরম লজ্জাজনক, অপমানজনক ও চরম বৈষম্যমূলক। বাংলাদেশের নন-ক্যাডারভুক্ত নবম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডভুক্ত এই গণকর্মচারীরা তকমাগত অপমান সহ্য করা ছাড়াও পদোন্নতিজনিত বৈষম্য, বদলীজনিত বৈষম্য, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য, শিক্ষা-প্রশিক্ষণে বৈষম্য, এমনকি পদমর্যাদাজনিত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন চাকরিজীবনের প্রতিটি পদে। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান এইসব বৈষম্য দূরীকরণে নন-ক্যাডার ডিপার্টমেন্টগুলোতে প্রেষণ বন্ধ করা, সকল দপ্তর ও সংস্থায় সমগ্রেডভিত্তিক পদসোপান নির্ধারণ, পদোন্নতিযোগ্য ও পদোন্নতিবঞ্চিতদের আশু পদোন্নতির পদক্ষেপ গ্রহণ (প্রয়োজনে পদোন্নতিবঞ্চিতদের সুপারনিউমারারি পদোন্নতি প্রদান), সকল কর্মচারীদের ক্যাডার ননক্যাডার বৈষম্যমূলক ট্যাগ পরিহার করে গ্রেডভিত্তিক পরিচয় প্রদান নিশ্চিতকরণ।
মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী
অতিরিক্ত পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর
নীতি নির্ধারক ও নীতি কার্যকরীর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। যারা দীর্ঘ সময় ধরে মাঠ পর্যায়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তাঁদের বাস্তব অভিজ্ঞতা নীতি নির্ধারনীতে ভূমিকা না রাখতে পারলে জাতির জন্য তা কখনোই মঙ্গলজনক হবেনা।
সাইদুল ইসলাম 
পরিচালক, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর
পলিসি যারা তৈরি করেন তাঁরা কাজ গুলো করেন না,পলিসি তৈরি করার ব্যাক্তি অপারেশন লেভেলে কখনোই ছিলেন না। এখন যিনি রুট লেভেলে কাজ করেননি তিনি ওই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যারা সেবা গ্রহণ করে থাকেন তাঁদের চাহিদা কি, কাজ কি ধরনের হওয়া উচিত তা বুঝেন কিনা। আইনী কাঠামো কি হওয়া উচিত, কি করলে সমস্যা দূর হবে তা নীতি নির্ধারকরা জানার কথা না। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজনকে যদি নীতি নির্ধারনীতে রাখা হয় তাহলে তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা কাজে আসবে বলে আমি মনে করি। খ্রীস্টপূর্ব ৩২২ অব্দে যখন সিভিল সার্ভিস সর্বপ্রথম চালু হয় তখন তাদের উদ্দেশ্য ছিলো এক শ্রেণী অন্য শ্রেণীকে শাসন করবে, শোষন করবে,নিয়ন্ত্রণ করবে।এভাবে চলতে চলতে পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থায় শাসন ও শোষনের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয়েছে। অন্য দের পরগাছা করে রাখার যে নিয়ম, রীতি এই ভূ-খন্ডে চালু হয়েছে যার উওরাধিকার এখন বাংলাদেশ। সাধারণ মানুষের পক্ষে তাঁদের বিকাশের পথকে বাঁধাগ্রস্থ করে রাখার যে প্রক্রিয়া চালু রেখেছে এখানেই সৃষ্টি হচ্ছে বৈষম্য এবং উন্নয়নে বাঁধা। সংগত কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে এখন সময় এসেছে বৈষম্য দূর করা ক্যাডার-নন ক্যাডার কিংবা আন্ত ক্যাডার বৈষম্য বিলুপ্ত করে দেওয়া।
হুমায়ুন কবির খন্দকার
উপ-পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর
"জনগনকে সেবা প্রদান হতাশাগ্রস্থ ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের  দিয়ে সম্ভব নয়। তাদের পদোন্নতি আটকে দিয়ে তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু সেবা আশা করা যায় না।"নিজের ডিপার্টমেন্টে নবম গ্রেডের প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়ে নিজ ডিপার্টমেন্টে মহাপরিচালক/প্রধান নির্বাহী/ডিপার্টমেন্ট প্রধান/অতিরিক্ত মহাপরিচালক/পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তা ও ডিপার্টমেন্টের জন্য হতাশাজনক। ডিপার্টমেন্টগুলোতে (অধিদপ্তর/দপ্তর) নিজ দায়িত্বের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা দপ্তরগুলোর ব্যবস্থাপনায় না থাকায় অব্যবস্থাপনার কারণে জনসেবা যথাযথভাবে প্রদান সম্ভব হয়না। যার ডিপার্টমেন্ট তার মধ্য থেকেই দক্ষ কর্মকর্তা দ্বারা ডিপার্টমেন্টগুলো পরিচালনা করলেই জনসেবা প্রদান ও দূর্নীতি রোধ করা সম্ভব। দক্ষ কর্মকর্তা সরাসরি মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত জনপ্রতিনিধি সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সঠিক পরামর্শ দিতে পারে, তাই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা তার অধিনস্ত ডিপার্টমেন্ট থেকে নেয়া উচিত। যে যেটা জানে তাকেই রাষ্ট্রের সে দায়িত্ব প্রদান করা উচিত। এভাবেই সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে উঠতে পারে।
মো: সাজ্জাদুল ইসলাম 
অতিরিক্ত পরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর 
আমি এখন রয়েছেন ৫ম গ্রেডে, যদিও অন্যান্য দপ্তরে উপ-পরিচালক পদই হয় ৫ম গ্রেড। সরকারি কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনের জন্য আমরা কাজ করবো, কিছুদিনের মধ্যে সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ তাঁদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
ড. মোঃ আতাউর রহমান 
উপ-পরিচালক, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
হতাশাগ্রস্থ এই কর্মকর্তার তাঁর ফেসবুক কমেন্টটি সম্পূর্ণ তুলে ধরা হলো:
"(২৭/১২/২৪) বৈষম্য বিরোধী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুুমের ফেসবুক পেইজে তার পোস্টে কমেন্ট- 
যেমন ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হিসেবে প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমি- 
-বিগত ১৫ বছর ধরে একই পদে রেখে শুধু মানসিক যন্ত্রণায় নিমজ্জিত করে রেখেছে!
-অথচ প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় (এখন দেখি আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান!), দীর্ঘ ৭বছর একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি ছেড়ে এসেছি এই প্রতœতত্ত্ব বিষয়ে একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী (২০০৬) হওয়ায় ও সংশ্লিষ্ট ফিল্ডে পর্যাপ্ত গবেষণা থাকায় পিএসসি-র মাধ্যমে এ দপ্তরে যোগদান করেছিলাম এবং ইচ্ছে ছিলো বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও প্রতœতাত্ত্ব্বিক নিদর্শন কে বিশ্বের দরবারে সুপরিচিতি করার জন্য বাকি জীবন এ দপ্তরে নিজেকে নিয়োজিত রাখিবো; কিন্তু বিগত ১৫ বছরে যার উল্টোটা পেয়েছি!
উল্লেখ্য ও অতি আশ্চর্যের বিষয় হলো এই যে, তৎকালীন সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আমার যোগদানকালীন সময়ে যিনি শাখার দায়িত্বে থাকা সহকারী সচিব ছিলেন, তিনি গত ১৫ বছরের মধ্যে সম্মানীয় সচিব (!) হয়েছেন! আর আমি ইতিহাস ও প্রতœতত্ত্বে প্রথম শ্রেণী পাওয়া গবেষক হিসেবে গত ১৫ বছরেই উপ-পরিচালকই রয়ে গেছি, ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হিসেবে!!!
এমন বৈষম্য চলতে থাকা বাংলাদেশে কখনো ই দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ আসবে না; যদি না '২৪ এর তারুণ্যের জয়ের প্রেক্ষিতে পাওয়া নতুন বাংলাদেশকে - সত্য ও ন্যায়ের পথে হাঁটতে দেয়া না হয়!
আর সেটার জন্য মিশ্র জাতির বাংলাদেশের ১৮কোটি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে সকল ধর্মীয় সৎজন ও বিদ্যান ব্যক্তিত্বদের দিয়ে একটি বিচারিক আদালত (যেমনটি ছিল মুসলিম বাংলায় তথা ভারতীয় মুসলমানের শাসনামলে ১২০০-১৮৫৭) খুলতে হবে প্রতিটি কমিউনিটিতে; সেখান থেকে যাচাই বাছাই করে, প্রকৃত মানুষ খুঁজে খুঁজে দেশের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সব জায়গায় (প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সংসদ ভবন) যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে বসাতে হবে।
এককথায় আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে!
সেখানে আপনি ক্যাডার; আমি নন ক্যাডার বা সাধারণ চাকরিজীবী সকলকেই ঐ কাজীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে এবং নিজেদের অতীতের আমলনামা অনুযায়ী বিচার করা হবে এবং তা মেনে নিতে হবে। তবে ই একটি "স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে"।
যেখানে সকল ধর্মের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করবে! এবং যেটা হবে বিশ্বের সেরা দেশ!
'২৪-এর বিপ্লব সে সুযোগ করে দিয়েছে!
এখন উড় ড়ৎ ফরব !!!)"
বয়স প্রায়ই ষাট চুই চুই, চাকুরী জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি। একই পদে রয়েছেন এক যুগেরও বেশি, পদোন্নতির জন্য যোগ্য হয়েও ওই দপ্তরের সব অভিজ্ঞতা অর্জন করেও পরিচালক হতে মহাপরিচালক হচ্ছেন প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা। নিজের যোগ্যতা,দক্ষতা, অভিজ্ঞতা সবকিছু মিলিয়ে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরবর্তী পদে যাওয়ার জন্য যোগ্য হয়েও পদোন্নতি পাচ্ছেন না তিনি। এ যেনো জনসাধারণকে সেবা প্রদান করা প্রতিটি অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কাজ করা দক্ষ কর্মকর্তাদের চিত্র। সংস্কারের বাংলাদেশে সংস্কার শব্দটি মুখে মুখে না বলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনের এখনই সময় বলে মনে করছেন সকল শ্রেণির শোষিতরা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : দৈনিক ইনফো বাংলা

কমেন্ট বক্স