ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রিশাদকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলতে এবার ফ্লিপার-স্লাইডারের দীক্ষা দিচ্ছেন মুশতাক

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Nov 4, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
বাংলাদেশের লেগ স্পিনে এখন একজন আইকন রিশাদ হোসেন। আন্তর্জাতিক সার্কিটে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই বদলে যেতে শুরু করেছে লাল সবুজের স্পিনারদের চিন্তাভাবনা। তার দেখাদেখি অনেকেই এখন আগ্রহী হচ্ছে স্পিনের এই দিকটায় বলে মনে করেন টাইগারদের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ। গুগলির পর এবার ফ্লিপার এবং স্লাইডার নিয়ে কাজ করছেন রিশাদ। মুশতাকের আশা দ্রুতই লেগ স্পিনারদের সবগুলো স্টক বল দেখা যাবে এই লেগির ঝুলিতে। রিশাদ হোসেন, বাংলাদেশের আর পাঁচজন ক্রিকেটার থেকে একটু আলাদা। ৬ ফিট ২ ইঞ্চি উচ্চতার এই স্পিনারকে আলাদা করা যায় খুব সহজেই। সেটা যে শুধু তার উচ্চতা বা দেহ ভঙ্গিমার কারণে, তা কিন্তু নয়। আন্তর্জাতিক সার্কিটে রিশাদের পারফরম্যান্সটাও তাকে আলাদা করে অন্য সবার চেয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের চিরদিনের আফসোস লেগ স্পিনার। সে জায়গায় রিশাদ যেন প্রচন্ড গরমের পর এক পশলা বৃষ্টির মতো অনুভূতি জাগায় এখন দেশের ক্রিকেটে। টাইগার স্কোয়াডের এই অটোচয়েজ ক্রিকেটারের বন্দনা তাই সবার মুখে মুখে। মূলত পাকিস্তানি কিংবদন্তী লেগস্পিনার মুশতাক আহমেদের হাতে পড়েই বদলে গেছেন রিশাদ হোসেন। যদিও, এই কৃতিত্ব একা নিতে চান না মুশতাক। তার দাবি, রিশাদের কঠোর পরিশ্রমই তাকে এগিয়ে এনেছে এতটা দূর। আর শুধু তাই নয়, মুশতাকের মতে রিশাদকে দেখে এখন অনেকেই আগ্রহী হচ্ছে ক্রিকেটের এই বিরল রহস্য উন্মোচনে। মুশতাক বলেন, ‘ক্রিকেটে সব সময় একজন আইকন প্রয়োজন হয়। রিশাদ তোমাদের লেগ স্পিন আইকন। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে তার পারফরম্যান্স এখন তরুণদের আগ্রহী করে তোলে। আমি বাংলাদেশে অনেককে পেয়েছি, তারা এখন রিশাদের মতো বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং করতে চায়। এটা যেকোনো দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রথম ধাপ। খুব দ্রুতই হয়তো আমরা আরও মানসম্মত স্পিনার পাব।’ ক্রিকেট মাঠে লেগ স্পিনারদের জন্য কাজটা বরাবরই কঠিন। কারণ হিসেবে ধরা হয় এর স্টকবলগুলোর দুষ্প্রাপ্যতা। অনেক ভালো লেগস্পিনার আছে যাদের গুগলি খুব একটা কার্যকর নয়। কিন্তু রিশাদের হাতের কাজে মুগ্ধ মুশতাক। তার আশা দ্রুতই গুগলির মতো ফ্লিপার-স্লাইডারেও পরিপক্ক হয়ে উঠবেন রিশাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘গুগলি একটি শিল্প। সবাই এটা ব্যবহার করতে পারে না। রিশাদ অনেকটাই এটা আয়ত্ত করে ফেলেছে। এবার উইন্ডিজের বিপক্ষে সে দুটি উইকেট পেয়েছে এ ডেলিভারিতে। এখন সে থার্ড স্টক বল নিয়ে কাজ করছে। যাকে আমরা ফ্লিপার ও স্লাইডার বলি। এ দুটো হলে রিশাদ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে। তবে সবার আগে বেসিক ঠিক রাখতে হবে। পারফরম্যান্সের জন্য এটা মূখ্য।’ এরপরও কথা থাকে কিছু। বাংলাদেশের স্পিনারদের চিরায়ত সমস্যা যে ধারাবাহিকতা। পিচের সুবিধা না পেলে খুব একটা বিধ্বংসী রূপে এখানে পাওয়া যায় না রিশাদকেও। বিষয়টা মানেন মুশতাক, তাই তো সমস্যা উত্তরণে দিলেন টোটকা। টাইগারদের এ কোচ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি পিচের সুবিধা সব সময় পাবেন না। এটাই বাস্তবতা। স্পিনারদের এখানে কৌশলী হতে হবে। উইকেটের নির্ভরতা ছাড়াও বলের টার্ন করানো শিখতে হবে। সে জন্য বেসিক ঠিক রাখতে হবে। বেসিক শক্তিশালী হলে উইকেট কোনো সমস্যা না। আমিও রিশাদকে এই দীক্ষা দিচ্ছি। রিশাদের মতো আরও লেগস্পিনার বাংলাদেশকে উপহার দিতে চান মুশতাক আহমেদ। তাই তো সব বিদেশি কোচরা ম্যাচের ফাঁকে যখন থাকেন ছুটিতে তখন মুশিকে পাওয়া যায় মিরপুরের ইনডোরে। যেখানে স্থানীয় স্পিনারদের নিয়ে চলে তার কর্মযজ্ঞ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : দৈনিক ইনফো বাংলা

কমেন্ট বক্স